1. dailysomoyerbani7starpres@gmail.com : Daily Somoyer Bani 7 Star Press : Daily Somoyer Bani 7 Star Press
  2. miyajifmforhad@gmail.com : Forhad : Forhad
  3. shafidbaraktaz12@gmail.com : Md Shafid Barak Taz : Md Shafid Barak Taz
  4. mdsoyebmia2@gmail.com : Md Soyeb : Md Soyeb
ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা: ৯ লাখ গ্রাহকের স্মার্ট ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় অনন্য প্ল্যাটফর্ম

দৈনিক সময়ের বাণী ৭ স্টার প্রেস

‘আস্থা’ অ্যাপে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবাছবি: ব্র্যাক ব্যাংকের সৌজন্যে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা: ৯ লাখ গ্রাহকের স্মার্ট ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় অনন্য প্ল্যাটফর্ম

 

ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ এখন ৯ লাখের বেশি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন এত বড় গ্রাহকবেসকে সেবা দেওয়া ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন। এটি ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলকও বটে।

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা আস্থা অ্যাপ ডিজাইন করা হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের বৈচিত্র্যময় লাইফস্টাইল ও আর্থিক প্রয়োজন পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে। বর্তমানে এই অ্যাপ বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ও পছন্দের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবা।

শুধু ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই আস্থা অ্যাপে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে মাসিক অ্যাপভিত্তিক লেনদেনে এক নতুন বেঞ্চমার্ক।

‘আস্থা’ অ্যাপে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবাছবি: ব্র্যাক ব্যাংকের সৌজন্যে
আস্থা  অ্যাপে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবা । ছবি: ব্র্যাক ব্যাংকের সৌজন্যে

আস্থা অ্যাপটি বিশেষত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ অ্যাপ ব্যবহারকারী ৫৩ শতাংশ গ্রাহকেরই বয়স ২১ থেকে ৩৫-এর মধ্যে, যাঁরা ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আবার আস্থা অ্যাপের লাইফস্টাইল ফিচার ব্যবহারকারীর ৬১ শতাংশই এই বয়সী তরুণ প্রজন্ম, যাঁদের কাছে এ অ্যাপ দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আস্থা অ্যাপের গ্রাহকেরা নিজেদের ব্যাংকিং লেনদেনের ৭১ শতাংশই সম্পন্ন করেন এ অ্যাপের মাধ্যমে। গ্রাহকেরা যে ‘মোবাইল ফার্স্ট’ ব্যাংকিং সলিউশনের দিকে ঝুঁকছেন, এটি তারই উদাহরণ।

আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে নিজেদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে পারছেন। এখানে প্রতিটি সেবা নেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সহজ। এনপিএসবি ও আরটিজিএসের মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে রিয়েল টাইম ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে গ্রাহকেরা এ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল টপআপসহ বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধও করতে পারছেন ঝামেলাহীনভাবে। এ ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ফলে গ্রাহকদের এখন আর ব্রাঞ্চে যেতে হচ্ছে না কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এখানে নেই কোনো ট্রানজেকশন ফি। গ্রাহকেরা হাতের নাগালেই পাচ্ছেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্যাংকিং সেবা।

গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় পরিকল্পনাও সহজ করেছে আস্থা অ্যাপ। গ্রাহকেরা খুব সহজেই আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে এফডিআর ও ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি সেগুলো এনক্যাশও করতে পারছেন এখান থেকে। এ ছাড়া এ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা পিন জেনারেট কিংবা রিসেট করা, কার্ড সাময়িকভাবে ব্লক করা, এমনকি নমিনির তথ্যও হালনাগাদ করতে পারছেন খুব সহজেই। যাঁরা দ্রুততা এবং পরিকল্পিত আর্থিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেন, এই সেবাগুলো তাঁদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও নিশ্চিন্ত।

আস্থা অ্যাপের ‘ক্যাশ আউট বাই কোড’ ফিচারের মাধ্যমে এটিএম থেকে কার্ড ব্যবহার ছাড়াই খুব সহজে টাকা উত্তোলন করা যায়, যা গ্রাহকদের জন্য উন্মোচন করেছে প্রচলিত এটিএম ট্রানজেকশনের এক আধুনিক বিকল্প ব্যবস্থা। বিকাশ, রকেট ও ইনস্যুরেন্স পেমেন্টের মতো পৌনঃপুনিক লেনদেনগুলোকে স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন ফিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়। ফলে গ্রাহক ভুলে গেলেও বিল পেমেন্ট হয় সময়মতো। বিকাশের ‘পুল মানি’ ফিচারটির মাধ্যমে যোগ হয়েছে আরও বিশেষ সুবিধা। আস্থা অ্যাপের এ সুবিধার ফলে গ্রাহকেরা বিকাশ থেকে তাঁদের ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করতে পারছেন।

আস্থা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ ও সুবিন্যস্ত। গ্রাহকেরা অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর, কিংবা ডিপিএস নম্বরের মাধ্যমেই এখানে সাইন-আপ করতে পারেন। এ কারণে প্রক্রিয়াটি সবার কাছেই সহজবোধ্য। এ অ্যাপের মাধ্যমে ইকেওয়াইসিভিত্তিক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কার্ড ও ঋণের আবেদনও এখান থেকে সহজেই করা সম্ভব। এ ছাড়া আস্থা অ্যাপে ব্র্যাক ব্যাংকের সব এটিএম বুথ, ব্রাঞ্চ ও মার্চেন্ট লোকেশন বের করা যায়, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের দারুণ সংমিশ্রণ সবার কাছে আস্থা অ্যাপকে করে তুলেছে অনন্য। এখানে গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুকে একসঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ‘আস্থা লাইফস্টাইলের’ মাধ্যমে গ্রাহকেরা বাসের টিকিট কাটতে পারেন, বিনা মূল্যে প্রথম আলোর ই-পেপার পড়তে পারেন, ‘আস্থা প্লে’র মাধ্যমে গান শুনতে পারেন, এমনকি ‘আস্থা লার্নিং’–এর মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সও করতে পারেন। ‘আস্থা ইসলামিক’-এ রয়েছে এমন সব কনটেন্ট, যেখানে একজন গ্রাহক খুঁজে পাবেন আত্মিক সন্তুষ্টি। এখনকার গ্রাহকদের দরকার ব্যাংকিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু। বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা অ্যাপে যুক্ত করেছে দারুণ সব ফিচার।

গ্রাহকদের আর্থিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায়ও আস্থা অ্যাপ ভূমিকা রাখছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স সার্টিফিকেট, চেকবুক কনফারমেশন মুহূর্তেই পাওয়া যায়। এতে আছে ‘পজিটিভ পে’, যা এসএমই গ্রাহক, স্যালারি অ্যাকাউন্টহোল্ডার ও স্বনির্ভর পেশাজীবীদের জন্য জরুরি এক ফিচার। আস্থা অ্যাপের বিল পেমেন্টের ঝামেলাহীন প্রক্রিয়ায় সহজেই ইউটিলিটি বিল এবং সরকারি বিভিন্ন পেমেন্টসহ ভূমি করের মতো পেমেন্টও করা যায়। এসব সুবিধা দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গ্রাহকদের দেয় বাড়তি সুবিধা।

এই প্ল্যাটফর্ম যত বড় হচ্ছে, ততই এর প্রভাবও বাড়ছে। ৯ লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর এ প্ল্যাটফর্ম শুধু বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যাংকিংকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িতই করছে না; বরং একই সঙ্গে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য এবং ব্যাংকিংয়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বিকাশ ঘটাচ্ছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা অ্যাপ সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আস্থা শুধু একটি অ্যাপই নয়, এটি বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্মার্ট ভবিষ্যতের এক নতুন দুয়ার। এ অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি উদ্ভাবন, গ্রাহককেন্দ্রিকতা এবং সহজ ব্যাংকিংয়ের প্রসারে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ, সহজ ও স্মার্ট ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে আস্থা বাংলাদেশের মানুষের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা: ৯ লাখ গ্রাহকের স্মার্ট ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় অনন্য প্ল্যাটফর্ম

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা: ৯ লাখ গ্রাহকের স্মার্ট ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় অনন্য প্ল্যাটফর্ম

 

ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ এখন ৯ লাখের বেশি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন এত বড় গ্রাহকবেসকে সেবা দেওয়া ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন। এটি ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলকও বটে।

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা আস্থা অ্যাপ ডিজাইন করা হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের বৈচিত্র্যময় লাইফস্টাইল ও আর্থিক প্রয়োজন পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে। বর্তমানে এই অ্যাপ বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ও পছন্দের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবা।

শুধু ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই আস্থা অ্যাপে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে মাসিক অ্যাপভিত্তিক লেনদেনে এক নতুন বেঞ্চমার্ক।

‘আস্থা’ অ্যাপে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবাছবি: ব্র্যাক ব্যাংকের সৌজন্যে
আস্থা  অ্যাপে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উপভোগ করতে পারছেন নানাবিধ ব্যাংকিং সেবা । ছবি: ব্র্যাক ব্যাংকের সৌজন্যে

আস্থা অ্যাপটি বিশেষত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ অ্যাপ ব্যবহারকারী ৫৩ শতাংশ গ্রাহকেরই বয়স ২১ থেকে ৩৫-এর মধ্যে, যাঁরা ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আবার আস্থা অ্যাপের লাইফস্টাইল ফিচার ব্যবহারকারীর ৬১ শতাংশই এই বয়সী তরুণ প্রজন্ম, যাঁদের কাছে এ অ্যাপ দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আস্থা অ্যাপের গ্রাহকেরা নিজেদের ব্যাংকিং লেনদেনের ৭১ শতাংশই সম্পন্ন করেন এ অ্যাপের মাধ্যমে। গ্রাহকেরা যে ‘মোবাইল ফার্স্ট’ ব্যাংকিং সলিউশনের দিকে ঝুঁকছেন, এটি তারই উদাহরণ।

আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে নিজেদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে পারছেন। এখানে প্রতিটি সেবা নেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সহজ। এনপিএসবি ও আরটিজিএসের মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে রিয়েল টাইম ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে গ্রাহকেরা এ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল টপআপসহ বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধও করতে পারছেন ঝামেলাহীনভাবে। এ ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ফলে গ্রাহকদের এখন আর ব্রাঞ্চে যেতে হচ্ছে না কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এখানে নেই কোনো ট্রানজেকশন ফি। গ্রাহকেরা হাতের নাগালেই পাচ্ছেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্যাংকিং সেবা।

গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় পরিকল্পনাও সহজ করেছে আস্থা অ্যাপ। গ্রাহকেরা খুব সহজেই আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে এফডিআর ও ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি সেগুলো এনক্যাশও করতে পারছেন এখান থেকে। এ ছাড়া এ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা পিন জেনারেট কিংবা রিসেট করা, কার্ড সাময়িকভাবে ব্লক করা, এমনকি নমিনির তথ্যও হালনাগাদ করতে পারছেন খুব সহজেই। যাঁরা দ্রুততা এবং পরিকল্পিত আর্থিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেন, এই সেবাগুলো তাঁদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও নিশ্চিন্ত।

আস্থা অ্যাপের ‘ক্যাশ আউট বাই কোড’ ফিচারের মাধ্যমে এটিএম থেকে কার্ড ব্যবহার ছাড়াই খুব সহজে টাকা উত্তোলন করা যায়, যা গ্রাহকদের জন্য উন্মোচন করেছে প্রচলিত এটিএম ট্রানজেকশনের এক আধুনিক বিকল্প ব্যবস্থা। বিকাশ, রকেট ও ইনস্যুরেন্স পেমেন্টের মতো পৌনঃপুনিক লেনদেনগুলোকে স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন ফিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়। ফলে গ্রাহক ভুলে গেলেও বিল পেমেন্ট হয় সময়মতো। বিকাশের ‘পুল মানি’ ফিচারটির মাধ্যমে যোগ হয়েছে আরও বিশেষ সুবিধা। আস্থা অ্যাপের এ সুবিধার ফলে গ্রাহকেরা বিকাশ থেকে তাঁদের ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করতে পারছেন।

আস্থা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ ও সুবিন্যস্ত। গ্রাহকেরা অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর, কিংবা ডিপিএস নম্বরের মাধ্যমেই এখানে সাইন-আপ করতে পারেন। এ কারণে প্রক্রিয়াটি সবার কাছেই সহজবোধ্য। এ অ্যাপের মাধ্যমে ইকেওয়াইসিভিত্তিক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কার্ড ও ঋণের আবেদনও এখান থেকে সহজেই করা সম্ভব। এ ছাড়া আস্থা অ্যাপে ব্র্যাক ব্যাংকের সব এটিএম বুথ, ব্রাঞ্চ ও মার্চেন্ট লোকেশন বের করা যায়, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের দারুণ সংমিশ্রণ সবার কাছে আস্থা অ্যাপকে করে তুলেছে অনন্য। এখানে গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুকে একসঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ‘আস্থা লাইফস্টাইলের’ মাধ্যমে গ্রাহকেরা বাসের টিকিট কাটতে পারেন, বিনা মূল্যে প্রথম আলোর ই-পেপার পড়তে পারেন, ‘আস্থা প্লে’র মাধ্যমে গান শুনতে পারেন, এমনকি ‘আস্থা লার্নিং’–এর মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সও করতে পারেন। ‘আস্থা ইসলামিক’-এ রয়েছে এমন সব কনটেন্ট, যেখানে একজন গ্রাহক খুঁজে পাবেন আত্মিক সন্তুষ্টি। এখনকার গ্রাহকদের দরকার ব্যাংকিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু। বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা অ্যাপে যুক্ত করেছে দারুণ সব ফিচার।

গ্রাহকদের আর্থিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায়ও আস্থা অ্যাপ ভূমিকা রাখছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স সার্টিফিকেট, চেকবুক কনফারমেশন মুহূর্তেই পাওয়া যায়। এতে আছে ‘পজিটিভ পে’, যা এসএমই গ্রাহক, স্যালারি অ্যাকাউন্টহোল্ডার ও স্বনির্ভর পেশাজীবীদের জন্য জরুরি এক ফিচার। আস্থা অ্যাপের বিল পেমেন্টের ঝামেলাহীন প্রক্রিয়ায় সহজেই ইউটিলিটি বিল এবং সরকারি বিভিন্ন পেমেন্টসহ ভূমি করের মতো পেমেন্টও করা যায়। এসব সুবিধা দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গ্রাহকদের দেয় বাড়তি সুবিধা।

এই প্ল্যাটফর্ম যত বড় হচ্ছে, ততই এর প্রভাবও বাড়ছে। ৯ লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর এ প্ল্যাটফর্ম শুধু বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যাংকিংকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িতই করছে না; বরং একই সঙ্গে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য এবং ব্যাংকিংয়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বিকাশ ঘটাচ্ছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা অ্যাপ সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আস্থা শুধু একটি অ্যাপই নয়, এটি বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্মার্ট ভবিষ্যতের এক নতুন দুয়ার। এ অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি উদ্ভাবন, গ্রাহককেন্দ্রিকতা এবং সহজ ব্যাংকিংয়ের প্রসারে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ, সহজ ও স্মার্ট ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে আস্থা বাংলাদেশের মানুষের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে।’