1. dailysomoyerbani7starpres@gmail.com : Daily Somoyer Bani 7 Star Press : Daily Somoyer Bani 7 Star Press
  2. miyajifmforhad@gmail.com : Forhad : Forhad
  3. shafidbaraktaz12@gmail.com : Md Shafid Barak Taz : Md Shafid Barak Taz
  4. mdsoyebmia2@gmail.com : Md Soyeb : Md Soyeb
ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেই ব্যক্তিগত আয়নাঘরের মালিকের স্বীকারোক্তি

দৈনিক সময়ের বাণী ৭ স্টার প্রেস
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেই ব্যক্তিগত আয়নাঘরের মালিকের স্বীকারোক্তি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় একটি ব্যক্তিগত আয়নাঘরে দুইজন নারী ও পুরুষকে বন্দি করে রাখার ঘটনায় আলোচিত সেই বাড়ির মালিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (১) এর বিচারক আলমগীর হোসেন ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেপ্তার সুমন সেখ (২৩) রায়গঞ্জ উপজেলার সোনারাম মধ্যপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং আলোচিত সেই আয়নাঘরের মালিক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন বলেন, সোমবার রাতে সদর উপজেলার বহুলী বাজার এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা জবানবন্দি রেকর্ড করার পর সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

নাজমুল হক আরো বলেন, জবানবন্দিতে সুমন সেখ জানিয়েছে পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত তাদের বাসা ভাড়া নিয়ে নিচের ফ্লোরে দুইটি কক্ষ তৈরি করেন। যেখানে দুইজন নারী ও পুরুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।

তিনি নিজে তাদের খাবার সরবরাহ করতেন। আরাফাতসহ অজ্ঞাত ২/৩জন সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।

এসআই নাজমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার সুমন সেখ এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার দিন এসব মামলার প্রধান আসামি পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পূর্ব পাইকড়া গ্রামের আব্দুল জুব্বার (৭৫) ও লক্ষ্মী বিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের শিল্পী বেগমকে (৪৮) সুমন সেখের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। ১ মে গভীর রাতে নিজেদের চেষ্টায় তৈরী করা সুরঙ্গ দিয়ে তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন। পরেরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত আরাফাত ও সুমনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এদের মধ্যে আব্দুল জুব্বারকে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর এবং শিল্পী বেগমকে ১২ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও শিল্পী বেগমের স্বামী মনসুর আলী বাদী হয়ে আলাদা দুইটি মামলা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

সেই ব্যক্তিগত আয়নাঘরের মালিকের স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় : ০৮:২৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সেই ব্যক্তিগত আয়নাঘরের মালিকের স্বীকারোক্তি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় একটি ব্যক্তিগত আয়নাঘরে দুইজন নারী ও পুরুষকে বন্দি করে রাখার ঘটনায় আলোচিত সেই বাড়ির মালিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (১) এর বিচারক আলমগীর হোসেন ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেপ্তার সুমন সেখ (২৩) রায়গঞ্জ উপজেলার সোনারাম মধ্যপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং আলোচিত সেই আয়নাঘরের মালিক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন বলেন, সোমবার রাতে সদর উপজেলার বহুলী বাজার এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা জবানবন্দি রেকর্ড করার পর সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

নাজমুল হক আরো বলেন, জবানবন্দিতে সুমন সেখ জানিয়েছে পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত তাদের বাসা ভাড়া নিয়ে নিচের ফ্লোরে দুইটি কক্ষ তৈরি করেন। যেখানে দুইজন নারী ও পুরুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।

তিনি নিজে তাদের খাবার সরবরাহ করতেন। আরাফাতসহ অজ্ঞাত ২/৩জন সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।

এসআই নাজমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার সুমন সেখ এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার দিন এসব মামলার প্রধান আসামি পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পূর্ব পাইকড়া গ্রামের আব্দুল জুব্বার (৭৫) ও লক্ষ্মী বিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের শিল্পী বেগমকে (৪৮) সুমন সেখের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। ১ মে গভীর রাতে নিজেদের চেষ্টায় তৈরী করা সুরঙ্গ দিয়ে তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন। পরেরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত আরাফাত ও সুমনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এদের মধ্যে আব্দুল জুব্বারকে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর এবং শিল্পী বেগমকে ১২ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও শিল্পী বেগমের স্বামী মনসুর আলী বাদী হয়ে আলাদা দুইটি মামলা করেছেন।